অবতক খবর,উত্তর দিনাজপুরঃ শীত বেলায় যখন দখিনা বাতাস খেলা করছে মিঠে রোদ্দুরের সাথে সেই মুহূর্ত গুলিকে গানে গানে আর কবিতায় তুলে ধরলেন সুর আর শব্দের কারিগররা।চারিদিকে প্রকৃতির মুক্ত বাতায়ন আর আর যেন অসংখ্য জলজ সভ্যতার ক্যানভাস। নীল আকাশের নীচে প্রকৃতির এমনই মুক্তাঙ্গনে বসলো বৈঠকি আড্ডা।শীত পরব শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান “তোমার খোলা হাওয়ায়”শুনিয়ে দখিনা সমীরণকে স্বাগত জানালেন সুচেতা চক্রবর্তী।স্বরচিত কবিতা বাল্য বিবাহ শোনালেন গৌর ভক্ত রায়।স্বরূপনান্দ বৈদ্য গ্রামীন এলাকায় এসে সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে মেল বন্ধন তৈরির বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।গ্রামীন এলাকার সাহিত্য সংষ্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যে এধরণের আসরের প্রয়োজনীয়তা অসীম টা নিয়ে আলোচনা করেন শিক্ষক ও সমাজ কর্মী চন্দন পাল।জীবন মুখী গানে প্রকৃতির মাঝে নিজেকে উজার করে দেন অর্পিতা দত্ত।নাট্য নির্দেশক উত্তম সরকার ও উজ্জ্বল দত্ত তাদের নাট্য সংলাপ নিয়ে ছিলেন দারুণ।

প্রেম মজুমদারের গাওয়া রবীন্দ্রনাথের গান বেশ নান্দনিক।গোলাপ শীর্ষক কবিতা শোনান মৌসুমী নন্দী।সন্ধ্যা রানী রায় মন্ডল শোনান সেখানকার প্রেক্ষাপটে লেখা কবিতা।শিপ্রা রায় “একি লাবন্যে পূর্ণ প্রাণে” এই রবীন্দ্র নৃত্যে বৈঠকি আড্ডা কে যেন প্রাণিত করলেন।সৌরদীপ্তা চক্রবর্তীর লেখা কবিতা শুনিয়ে শীতকে বিদায় জানান সুচেতা চক্রবর্তী।প্রভাত তালুকদার গ্রামীন এলাকার সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে তুলে নিয়ে আসার বিষয়ে নিজের উদ্দীপনাকে প্রকাশ করেন।তিনি এবং ব্রজ গোপাল মন্ডল নাটকের সংলাপে অংশ নেন।সুশান্ত নন্দী শোনান ছোটদের রবীন্দ্র নাথের গান এবং নরেশ গুহর “রুমির ইচ্ছে” ছড়া।এরপর সম্পা শেঠ শোনান কবিতা আবৃত্তি ও স্বরচিত কবিতা।তৌসার্তিক নন্দীর নাচের পর সুজন মল্লিকের গানে গানে নীল আকাশের নীচে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি।তবলা সঙ্গতে বেশ স্বতঃস্ফূর্ত ছিলেন ডাঃ দেবাশীষ চক্রবর্তী।