শীতের কবিতা
তমাল সাহা
এক)
পাহাড়ের চূড়া পার্বত্য ঢাল
ঢেকে আছে তুষারে।
পাখিরা নীরব শীতকাতুরে
বসে আছে ছানা নিয়ে স্তব্ধ নীড়ে।
তুমি আমি আগুন পোহাই ঘরে।
কাছাকাছি ঘন হয়ে আছি
গরম চাদরে।
দুই)
এবার গাঙ্গেয় উপকূলে
খুব ঘন হয়েছে শীত–
চেতনা ও শিরদাঁড়া জুড়ে হাড়হিম বরফ।
তবুও কুয়াশা ভেদ করে দেখা যায়
আকাশের গায়ে নক্ষত্রেরা লিখে চলে
আগুনে হরফ।
তিন)
এই তুষারপাত শীতল প্রবাহ
তবুও গাছগুলি দাঁড়িয়ে থাকে সটান।
শীতের বিরুদ্ধে কী তীব্র লড়াই!
মাথা কিছুতেই নোয়াবে না, যে কে সেই।
আশ্চর্য ক্ষমতা গাছেদের!
তাদের গায়ে
শীত প্রতিরোধের কোনো জামা নেই।
চার)
কী ঠাণ্ডা! কী ঠাণ্ডা!
তবুও বেরিয়েছো শিশুটির হাত ধরে
গায়ে তার তুলোঠাসা রঙিন জ্যাকেট।
বড়দিন! কিনতে হবে তো কেকের প্যাকেট!
ভিখিরি শিশুটি তুড়ি মেরে শীত
দেখো দাঁড়িয়ে আছে
কেকের দোকানের পাশে উদোম গায়ে।
আনন্দে দেখছে সাজানো সান্তাক্লস ফারগাছ– বেচাকেনা।
তার ত্বক-ই তো ঠাণ্ডা-প্রুফ, শীত লাগেনা!