অবতক খবর , নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুর:- গত অক্টোবর মেদিনীপুর শহরে ক্লাব সমন্বয় কমিটির ডাকা একটি বিজয়া সম্মলনীতে হাজির হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ শুভেন্দু অনুগামীদের উদ্যোগে আয়োজিত অরাজনৈতিক এই কর্মসুচীতে সামিল হয়েছিলেন জেলা তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা প্রণব বসু ৷তারপরই তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ প্রশাসনের ৷
মেদিনীপুর পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে ৷ তাঁর স্থানে খড়্গপুর গ্রামীন এলাকার বিধায়ক দীনেন রায়কে দেওয়া হল দায়ীত্ব ৷ এরপরই কোন কারনে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁর কারন জানতে সরাসরি রাজ্যপ্রশাসনের বিরুদ্ধেই হাইকোর্টে পিটিশন করলেন প্রণব বসু ৷
প্রণব বসু দশ বছর ধরে মেদিনীপুর পৌরসভার পুরপ্রধান হিসেবে ছিলেন ৷ পৌর বোর্ডের মেয়াদ শেষ হতে তিনিই আবার মহকুমা শাসকের সঙ্গে পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন রাজ্য সরকারের নির্দেশে ৷
তবে বরাবরই তিনি শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী ৷ শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনার মাঝে মেদিনীপুর শহরে শুভেন্দু অধিকারীর সাথে মঞ্চে উপস্থিত থাকতেই তাঁর ওপরে শাস্তি নেমে আসে ৷ বুধবার বিকালে মেদিনীপুর পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়ীত্ব গ্রহন করেন খড়্গপুর গ্রামীন এলাকার বিধায়ক দীনেন রায় ৷ তবে তিনি মেদিনীপুর পৌরসভা এলাকার বাসিন্দা নন ৷
প্রণব বসু বলেন- “আমি গত দশ বছর ধরে পুরপ্রধান হিসেবে কাজ করেছি ৷ আমাকে নিয়ে দলের কিংবা পৌরসভা এলাকার লোকজনের কোনো দিনই কোনো অভিযোগ ছিল না ৷ কিন্তু হঠাত করে আমাকে সরিয়ে পৌরসভা এলাকার বাইরের বাসিন্দা বিধায়ক দীনেন রায়কে বসানো হল কেনো তার উত্তর পাইনি ৷
তাই আমাকে অপসারনের প্রকৃত কারন জানতে হাইকোর্টে পিটিশন করেছি ৷” এবিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি তা এড়িয়ে গিয়েছেন ৷
তিনি বলেন- “এটা প্রশাসনিক বিষয়, আমি রাজনৈতিক লোক প্রশাসনিক বিষয়ে মন্তব্য করাটা শোভা পায় না ৷ তবে প্রশাসন ভুল করেনি, ঠিকই করছেন ৷ কারন প্রশাসন আলাদা করে তাদের ভাবনা অনুযায়ী চলে ৷ আমি রাজনৈতিক কর্মী তাই শাসনিক ব্যাপারে সাধারনত হস্তক্ষেপ করিনা ৷”