অবতক খবর,৪ অক্টোবর: শুভ্রাংশু রায় এতদিন বিজেপি রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি তাঁর পিতার সঙ্গে কলকাতায় তৃণমূল ভবনে দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জীর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূলে যোগদানে পর কাঁচরাপাড়া, হালিশহর অর্থাৎ বীজপুর অঞ্চলে তৃণমূল কর্মী হিসেবে তাঁকে সক্রিয় অবস্থায় দেখতে পাননি মানুষ। তাঁর অনুগামীরাও চুপচাপ ছিলেন।‌তাঁরাও দিশেহারা, কি করবেন বুঝতে পারছিলেন না।

শুভ্রাংশু রায় ৬ নং ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের যে সদর দপ্তর, সেখানে হাজির হন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি পার্থ ভৌমিক, বীজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারী,শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি খোকন তালুকদার, তৃণমূল নেতা দিলীপ ঘোষ এবং বর্তমানে সক্রিয় যুবনেতা কমল অধিকারী।‌ তিনি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলেন। ‌তিনি জানান যে, তাঁর অনুগামী যে সমস্ত কর্মীরা বিশেষ করে কাউন্সিলররা রয়েছেন তারা তৃণমূলে যোগ দিতে চান। তিনি তাদের নিয়ে তৃণমূল কর্মী হিসেবে তাদের যোগদানের জন্য আবেদন রাখেন। তিনি বলেন, কিছুতেই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে আধিপত্য বিস্তার করতে দেওয়া যাবে না। তিনি বিরোধিতা করতে সক্রিয় হবেন। বিজেপির মত সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পশ্চিমবঙ্গে স্থান দেওয়া যায় না।

কর্মীরা আশ্চর্য এই যে,বিগত নির্বাচনের সময়ে তিনি এই সদর দপ্তরে হামলা চালান,বাচ্চু মন্ডল নামে এক পুরনো তৃণমূল কর্মীকে মারধর করেন। আজ এই ব্যক্তি নিজেই দপ্তরে আসেন এবং নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

প্রসঙ্গত, শুভ্রাংশু রায়কে সেই পার্টি অফিসেই বসতে হলো যেখানে তিনি দাঁড়িয়ে থেকে ভাঙচুর করিয়েছিলেন। পরিস্থিতি আজ তাকে সেই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে। যে পার্টি অফিসে তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ভাঙচুর করিয়েছিলেন সেখানেই তিনি আজ মাথা নিচু করে বসলেন।

জানা গেছে, আগামী ৬ অক্টোবর দুপুর একটায় কাঁচরাপাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান কার্যালয় তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে যোগদান করবেন কয়েকজন বিজেপি কাউন্সিলর ও বিজেপি নেতারা।

দেখা যাক,এর পরবর্তীতে নেতৃবৃন্দ কি ব্যবস্থা নেন। অবতক-এ নজর রাখুন।