অবতক খবর,২৪ জুলাইঃ সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের মনিপুর অঞ্চলের আতাপুর থেকে খুলনায় নদী পারাপার চলছে বহু বছর ধরে। জরাজীর্ণ খেয়া ঘাটটি সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে উঠছে। তবুও এই খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ যাত্রী পারাপার করে। শুধুমাত্র কয়েকটি ইট ও পিলারের উপর দিয়ে নৌকায় উঠতে হয় যাত্রীদের।একপ্রকার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হয় তাদের। এছাড়া বাইক ও সাইকেল নিয়ে পারাপারের ক্ষেত্রে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় যাত্রীদের।খেয়া ঘাটে কোন আলোর ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যার পর থেকে খেয়াঘাট ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে ওঠে।

এছাড়াও সন্দেশখালি দু নম্বর ব্লকের একমাত্র হাসপাতাল খুলনায় অবস্থিত হওয়ায় আতাপুর থেকে আশঙ্কার জনক কোন রোগীকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় রোগীর পরিবারও আত্মীয়স্বজনদের।

খেয়া ঘাটের দীর্ঘদিনের মাঝি রাধেশ্যাম দাসের অভিযোগ জেটি ঘাটের দাবি নিয়ে বহুবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

স্থানীয় ও নিত্যযাত্রীরা জানান এই খেয়াঘাট দিয়ে পারাপার করতে ভয় লাগে তাদের। পূর্ণিমার মরা কোটালে জল নিচে নেমে গেলে জেটির প্রায় শেষ প্রান্ত গিয়ে নৌকায় উঠতে হয় যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।সেজন্য তারা প্রশাসনের কাছে জেটিঘাট তৈরির দাবি জানিয়েছেন। সুন্দরবন থেকে প্রতিনিধি সুকান্ত দাস সুন্দরবন