অবতক খবর , সংবাদদাতা , মালদা :-   শহরের বাজারগুলিতে লাগাছাড়া সবজির দাম। মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। নিত্য প্রয়োজনীয় আলু, পেঁয়াজে হাত দিলেই ছাঁকা দেওয়ার জোগাড়। পুজোর আগে সবজির বাজার আগুন। আকাশছোঁয়া দামে নাস্তানুবাদ অবস্থা মধ্যবিত্তের। নিত্য প্রয়োজনীয় সব সবজির দাম বেড়েই চলেছে। যদিও এবার বন্যা ও ভাঙনকেই দায়ী করছেন পাইকারী ব্যবসায়ীরা। সবজি চাষের জমিগুলি এখন জলের তলায়। বিস্তৃত জমির সবজি এবার বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে। আবার ভাঙনেও বিঘার পর বিঘা সবজির জমি গঙ্গা, ফুলহার নদীর গ্রাসে।পাইকারি বাজারে সবজি আসতেই উধাও হয়ে যাচ্ছে। যদিও আমদানি অনেক কম। ফলে স্বাভাবিকভাবে দাম আকাশছোঁয়া। ইংরেজবাজার রেগুলেটেড মার্কেট ও রথবাড়ি পাইকারি সবজি বাজারে সাধারণত ভোর থেকে খুচরো সবজি বিক্রেতারা ভিড় জমাতে শুরু করেন। কিছুদিন ধরে মাঝ রাত থেকেই ভিড় জমাচ্ছেন তাঁরা। কারণ ভোর হতে না হতেই সবজি সব উধাও হয়ে যাচ্ছে। এক খুচরো ব্যবসায়ী সুভাষ মন্ডলের বাড়ি মোথাবাড়ি থানার সাদিপুরে। তিনি সাধারণ সকালে এসে রথবাড়ি পাইকারি বাজার থেকে সবজি কিনে নিয়ে যান। এখন মাঝ রাতে হাতে টর্চ নিয়ে আসতে হচ্ছে। বলেন, ‘‌এরকম আমাদের কোনও দিন হয় নি।

সকালে এসে আমরা সবজি নিয়ে গিয়ে থাকি। এখন রাতেই চলে আসতে হচ্ছে। ভোরের মধ্যেই সব সবজি শেষ হয়ে যাচ্ছে।’‌ মঙ্গলবার সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেল, আলু-‌৩০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ-‌৫০ টাকা কেজি, কপি-‌১৫০ টাকা কেজি, করলা-‌১২০ টাকা কেজি, পালংশাক-‌১২০ টাকা কেজি, টম্যাটো-‌৭০ টাকা কেজি, ঝিঙা-‌৫০ টাকা কেজি, লাল শাক-‌৮০ টাকা কেজি। সবজি বিক্রেতাদের মধ্যে সুনিতি মন্ডল, চন্দনা মন্ডল, গোকুল মন্ডলরা বলেন,‘‌এবার ব্যাপক বন্যা হওয়ায় সবজির দাম আকাশছোঁয়া। ক্রেতাদের কাছে আমাদের উল্টে কথা শুনতে হয়। কী আর করা যাবে!‌ আমরাও প্রবল সমস্যার মধ্যে রয়েছি।’‌ এক বিক্রেতা মানু শেখ জানান,‘‌দিনকে দিন সবজির দাম বেড়েই চলেছে। পেঁয়াজ এখনই ৫০ টাকা কেজি। আলু ৩০ টাকা। ভাবাই যায় না। এবার অভুক্ত থাকতে হবে আমাদের। এত দাম দিয়ে সবজি কেনা, কিছুতেই আর পারা যাচ্ছে না। দ্রুতই কিছু টা দাম কমবে আশা প্রকাশ করেন ক্রেতারা ।