অবতক খবর,২৫ জুনঃ আজ সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় কার্যালয়ে বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, অমিত শাহ কি বলেন না বলেন শুনে রাজনীতি যারা বিশেষজ্ঞ তারা এইসব নিয়ে হাসাহাসি করবে। অধীর চৌধুরী বলেন সবাই জানে গুজরাট মডেল মানে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের ল্যাবরেটরি, সেই জন্যই বলা হয় গুজরাট মডেল।
তিনি বলেন গোথরা কান্ড কি হয়নি দেশে গোথরা কাণ্ডে সংখ্যালঘুরা খুন বা হত্যা হয়নি। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী কে নরেন্দ্র মোদি ছিলেন না, সেই সময় অটল বিহারি বাজপেয়ি নরেন্দ্র মোদিকে কি বলেননি যে রাজ ধর্ম পালন করতে হবে।
২০০২ সালে সরকার বিজেপি ছিল, খুব স্বাভাবিক ভাবেই যখন দাঙ্গা হয়েছে তাকে যখন রাজ ধর্ম পালন করার কথা বলছেন তখনো নরেন্দ্র মোদি সাংবাদিক বৈঠক করে কি বলেছেন সেগুলি পুরনো ভিডিও দেখতে অনুরোধ করলেন বহরমপুর এর সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
স্বাভাবিকভাবে ঘটনাটা ঘটেছে তাতে কেউ অভিযুক্ত ছিল, অভিযুক্তকে খালাস দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তারমানে এটা নয় ,যে ঘটনা ঘটেনি। তার মানে এটা নয় যে জাফরি সাহেব কে পুড়িয়ে মারা হয়নি একটা কোর্টের তথ্য পেশ করতে সেখানকার যারা তথ্য সংগ্রহকারী সংস্থা তাদের যে তথ্য প্রমাণ পেশ করা হয়েছে তাতে বিচারক মনে করেছেন প্রমাণ যথেষ্ট নয় তাই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
তারমানে এটা নয় যে ঘটনা ঘটেনি। দিল্লিতেও তো ঘটনা ঘটেছিল তার জন্য কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। তার জন্য এত বছর পরেও তদন্ত হচ্ছে কংগ্রেসের কাউকে অভিযুক্ত করা হয়েছে সে জেলও খাটছে বলে তিনি জানান। ফারাক এই জায়গায় কখনো কি মোদি গোধরা কান্ড ক্ষমা চেয়েছেন কোথাও? তখন প্রশ্ন করা হয়েছিল যে লোক মারা যাচ্ছে তিনি তখন বলেছিলেন রাস্তায় গাড়ি চলাচল করলে কুকুর ছাগল বাচ্চারা মারা যায় তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা কিসের।
এইজন্য সাদাকে কালো কালোকে সাদা করার যে বিজেপির পদ্ধতি সেটা সবাইকে তারা বলতে আরম্ভ করেছেন সত্য মে ব জয়তে। তিনি বলেন ভারতবর্ষের বুকে কি গোথরা ঘটনা ঘটেনি বলতে পারবেন।