অবতক খবর,২ ফেব্রুয়ারী,জ্যোতির্ময় মন্ডল,পূর্ব বর্ধমান: বাঙালির ১২ মাসে তেরো পার্বণ । সরস্বতী পূজা বাঙালির বিদ্যা ও সংগীতের দেবী সরস্বতীর আরাধনা কে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হয় বাঙালির একটি উৎসব বা পূজা। শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজার আরাধনা করা হয়। প্রতি স্কুল কলেজ, অনেক ক্লাব , ও বাঙালির হিন্দুর প্রায় বাড়ীতে এই দেবী সরস্বতী পূজা হয়ে থাকে। সরস্বতী হলেন বিদ্যা ও সংগীতের দেবী।

বিদ্যার আশায় ইস্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা, ও প্রায় বাড়ির পড়ুয়া ছেলে, মেয়ে থেকে সবাই এই পূজায় অংশগ্রহণ করে। তাই এই বাগদেবী সরস্বতীর পূজ উপলক্ষে ফলের বাজার থেকে, দশকর্মার, ফুলের সব জিনিসই অগ্নিমূল্য। এই পরিস্থিতিতে সরস্বতী পূজার আয়োজন করাই দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে, পূজার উদ্যোক্তা থেকে সাধারণ মধ্যবিত্তের কাছে।

পঞ্চমীর তিথী অনুযায়ী আজ বেলা ১২টা বারোটা থেকে সরস্বতী পূজার পঞ্চমীর তিথি পড়ে যাচ্ছে সরস্বতী পূজার। আজ সকাল থেকেই মন্তেশ্বরের বাজারে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে ফলমূল , ফুল দশকর্মা কেনাকাটা করার ভিড় দেখতে পাওয়া যায়। এই দিন মন্তেশ্বরের ফলের বাজারে গিয়েও দেখা যায় শসা -৫০টাকা থেকে ৬০টাকা কেজি, নারকেলের- প্রতিপিস প্রায় ৪০টাকা ।

আপেল – ১৫০টাকা ২০০টাকা কেজি।দরে বিক্রি হচ্ছে। কুল- ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা প্রতি কেজি। কমলালেবু – ১০ টাকা ১৫ টাকা প্রতি পিস দরে বিক্রি হচ্ছে।ফলের দামও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে বলে জানান ক্রেতারা। মন্তেশ্বর বাজারের এক ফল ব্যবসায়ী দেবপ্রিয়া গড়াই বলেন ফলের দাম একটু বেশি বলে বাজার সেভাবে জমে নাই, কেনাকাটা একটু কম হচ্ছে।

সব ফল বিক্রয় হবে কিনা তার জন্য চিন্তায় রয়েছে, ফলের দাম একটু বেশি বলে, মাল অল্প অল্প কিনছে বেশি ফল কিনছে না ক্রেতারা বলে জানান তিনি। অন্যদিকে প্রতিমা সাজানোর সরঞ্জাম থেকে চাঁদমালা , মালা সহ দশকর্মার দামও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান ক্রেতা থেকে বিক্রেতারা। এর ফলে সরস্বতী পূজা উদযাপন করা দুরূহ ব্যাপার হয়ে পড়েছে বলে জানান পূজা উদ্যোক্তারা ।