অবতক খবর,১২ ফেব্রুয়ারি: “দলে দমবন্ধ হয়ে আসছিল, এবার আমি আমার অন্তরাত্মার কথা শুনব” এই বলে রাজ্যসভায় ইস্তফা দিলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী।
আর তারপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে যে তিনি নাকি বিজেপিতে যোগদান করবেন।
সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী কি করবেন,তার পরবর্তী পদক্ষেপ কি তা সময়ই বলবে।
কিন্তু তাঁর এই পদক্ষেপের পর তৃণমূল নেতাকর্মীরা তাঁকে ধান্দাবাজ বলতে দুবার ভাবছেন না।
যিনি ভারতবর্ষের সেরা সাংসদ আখ্যা পেয়েছিলেন, তাঁর এই পদক্ষেপে হতচকিত সকলেই।
কিন্তু ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কর্মীরা বলছেন,”যাকে জেতানোর জন্য আমরা দিনরাত পরিশ্রম করেছি,মার খেয়েছি, এমনকি ২৩শে মে ২০১৯-এর পর বিজেপির অত্যাচারে দিনের পর দিন ঘর ছাড়া হয়ে থাকতে হয়েছে,আজ তিনিই দলত্যাগ করলেন। তবে কার জন্য লড়াই করেছি আমরা!”
তবে তারা এখন এর প্রায়শ্চিত্ত করতে নেমেছেন।
বীজপুরের এক একনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মী চন্দ্রোদয় চক্রবর্তী আজ বিকেল পাঁচটায় এর প্রায়শ্চিত্ত করতে তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে কাঁচরাপাড়া বাগমোড় থেকে নৈহাটি পর্যন্ত সাইকেল চালিয়ে গেছেন এবং তার সঙ্গ দিয়েছেন রাজা হাজরা নামে আর এক তৃণমূল কর্মী। এরপর তারা নৈহাটি পৌরসভার সামনে গিয়ে সসম্মানে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে আসেন।
এ প্রসঙ্গে চন্দ্রোদয় বাবু বলেন,”পাপের প্রায়শ্চিত্ত করলাম। যে এমপি’র জন্য লড়াই করলাম,২৩শে মে’র পর বিজেপির অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ঘরছাড়া রইলাম,সেই এমপি আজ এই পদক্ষেপ নিলেন। দিদির স্থান নবান্নে। আর আজ আমি দিদিকে নবান্নে ফেরানোর অঙ্গীকার করছি।”
হালিশহর ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও তৃণমূল কর্মী চন্দ্রোদয় চক্রবর্তী একজন সমাজসেবীও বটে। তিনি করোনাকালে মানুষকে খাওয়ানো,তাদের পাশে দাঁড়ানো, করোনা আক্রান্তকে নিজের বাইকের পিছনে বসিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরানো, এমন বহু সমাজসেবামূলক কাজে নিয়োজিত ছিলেন এবং থাকেন।