অবতক খবর: উল্টো রথের দিন বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ঘটে গিয়েছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ত্রিপুরার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ১০। আহত প্রায় ১৫ জন। আর ত্রিপুরার এই দুর্ঘটনা রেশ আছরে পড়েছে বঙ্গে, শুরু হয়েছে বাগযুদ্ধ রাজনৈতিক মহলে।
এই বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। অনেক সময় তীর্থ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। যারা শকুনের মতো তাকিয়ে থাকে, মানুষের মৃত্যু নিয়েও রাজনীতি করে, বোঝাই যায় তারা কতটা হতাশ।‘দিলীপ ঘোষের কথায়,‘পার্টি ডুবে যাচ্ছে। সরকার ডুবে যাচ্ছে। দিশেহারা হয়ে খড় কুটো ধরে বাঁচতে চাইছেন। কোথায় রাজনীতি করতে হয় আর কোথায় করতে নেই, ওরা সেটাও জানে না।’
এর আগেও তৃণমূল বিজেপি বাগযুদ্ধে জড়িয়েছে। তৃণমূলকর্মীদের বুকে পা তুলে দেওয়ার হুমকি দেন দিলীপ ঘোষ। ঘুমপাড়ানি গুলি দিয়ে কাবু করা হবে’, এভাবেই পাল্টা হুঙ্কার দিয়েছিলেন তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কো-অর্ডিনেটর, বিধায়ক অজিত মাইতি। উল্লেখ্য,পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের বেলদা বাজার ও স্টেশন লাগোয় এলাকায় হাঁটতে বেরিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরাও।
এলাকার বিধায়ক সূর্যকান্ত আঢ্যর বাড়ির থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে মেদিনীপুরের সাংসদকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরাও। এমনকী, ‘গো-ব্যাক’ স্লোগানও দেন তাঁরা। চুপ করে থাকেননি দিলীপ ঘোষও। তৃণমূলকর্মীদের হুঁশিয়ারি দেন, ‘তোদের বুকে পা দেব রে। সকাল সকাল চোরেদের মুখ দেখতে হল। দিনটাই খারাপ যাবে’। ঘটনাকে কেন্দ্র রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিস। এভাবেই সময়ে সময়ে বাগযুদ্ধ ঘিরে রাজনৈতিক তর্জা বঙ্গবাসী দেখে আসছে।