শুধু ধর্মকে গালি দিলে হবে? লড়াই করো, নামো ময়দানে।
সুদর্শন চক্র তো অস্ত্র, সেটি তোমাকেই হাতে নিতেই হবে।
সুদর্শন চক্র
তমাল সাহা
কে কৃষ্ণ? ধর্ম কি?
সেকথা কোনো বড় নয়,
কুরুক্ষেত্রে লেখা ছিল
কার হবে জয় পরাজয়।
সেটা কি ভেবেছো কখনো?
তুমি রাজনীতির মাতব্বর!
তুমি কি কম বড় ডন?
দেখেছি ক্ষমতায় এসেছো যখন
তোমার পরাক্রম!
মানুষকে গিয়েছো ভুলে,
নিজের আখের গুছিয়েছো হরদম।
ক্ষমতা পেলে তুমিও দেখাও পেশী
শাসকের তো একটাই ধর্ম
জনগণ দূর হটো!
তোমাকে ঘিরে রাখে রাষ্ট্র লৌহবর্ম।
হাতে এখন কাজ নেই,
পরনিন্দা পরচর্চায় দিচ্ছ গালি।
ফেসবুকে কি বিপ্লব হয়,
যতই কুড়াও হাততালি!
ধর্মকে গালি দিয়ে শুধু সময় কাটাও,
নেমে পড়ো ময়দানে
মানুষের জয়গান গাও।
খেটে খাওয়া,লুটে খাওয়া মানুষ—
দুটো শ্রেণীর যুদ্ধ অনিবার্য।
এছাড়া সবকিছুই অগ্ৰাহ্য।
বস্ত্রহরণের গল্প তুমি জানো
নারীমর্যাদায় কে দ্রৌপদীকে
যুগিয়েছিল বস্ত্র?
তোমার কে আছে?
তার তো ছিল নারায়ণী সেনা সশস্ত্র!
লড়াইয়ে নামো
ধর্ম হটে যাবে দূর থেকে দূরে…
বিজ্ঞান জানে প্রকৃতি জানে
পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘোরে।
যুদ্ধের প্রতীক ছিল চক্র সুদর্শন,
তাকাও সেই অস্ত্রটির দিকে অনুক্ষণ
শত্রু চেনো ,কাকে করবে নিধন।