অবতক খবর: অশান্তির আগুনে জ্বলছে মণিপুর। ৩ মে রাজধানী ইম্ফলে ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চকে কেন্দ্র করে যে আগুন ছড়িয়েছে তা এখনও নেভার নাম নেই। এই পরিস্থিতিতে মণিপুর নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্টে পেশ করল মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিংয়ের সরকার।
সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পি এস নরসিংহের বেঞ্চে রাজ্যের পরিস্থিতি তুলে ধরেন মণিপুরের মুখ্যসচিব বিনীত যোশী।তিনি জানান, রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন হিংসাত্মক ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫ হাজার ৯৯৫টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে ৬ হাজার ৭৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে। ছ’টি মামলা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ইম্ফল ইস্ট ও ইম্ফল ওয়েস্টে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই মুহূর্তে মণিপুরে ১২৪ কোম্পানি আধাসেনা ও সেনাবাহিনীর ১৮৪টি কলাম মোতায়েন করা হয়েছে।
সোমবার মণিপুর নিয়ে করা একাধিক মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ । প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার দায় নির্বাচিত সরকারের। সবসময় আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার থেকে নতুন করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দুই গ্রামের বাসিন্দারা। নিরাপত্তারক্ষীদের নির্দেশ সত্ত্বেও এলাকা থেকে সরে যেতে রাজি হননি তাঁরা। জোর করে তাঁদের সরাতে গেলেই শুরু হয় গুলিবৃষ্টি। কাংভাই, সোংডো ও আওয়াং লেখাই নামে তিনটি গ্রামে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা আধিকারিক জানান, অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারপরেই এক পুলিশকর্মীর মৃত্যুর খবর মেলে।সোমবার শীর্ষ আদালতে বিরেন সরকারের রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত দু’মাস ধরে চলা হিংসার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৪২ জন।