অবতক খবর ২৮ অক্টোবরঃ সুব্রত মুখোপাধ্যায় জীবন রসিক লেখক। বীরাসন উপন্যাসের জন্য সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার পেয়েছেন,
রসিক উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন বঙ্কিম পুরস্কার। তিনি হালিশহরের ভূমিপুত্র। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য। উপন্যাসগুলো হল মধুকর, পৌর্ণমাসী, যে দেশে রজনী নাই, আয় মন বেড়াতে যাবি। তার নামাঙ্কিত সাহিত্য পুরস্কার এবার প্রথম প্রচলন করে গণকন্ঠ। এই পুরস্কারটি অর্জন করলেন হালিশহর বাসী লেখক সন্দীপ রায়।আজ সাধক রামপ্রসাদ সেন,২০২২ স্মারক বক্তৃতার বিষয় ছিল-রামপ্রসাদ। বক্তব্য রাখেন নজরুল গবেষক বাঁধন সেনগুপ্ত। তিনি আজ তার বৈদগ্ধ্যপূর্ণ আলোচনায় রামপ্রসাদের জীবন– তিনি যে লোককবি, মানুষের যাপিত জীবনের সঙ্গে তার গানের সম্পৃক্ততা এবং তার প্রতিকৃতি অঙ্কন বিষয়ক চিত্র সম্বন্ধে সবিশেষ আলোচনা করেন। তার আলোচনা শ্রোতৃমণ্ডলীর কাছে একটি বিশেষ প্রাপ্তি।
সন্দীপ রায় ইতিমধ্যেই সাহিত্যিক হিসেবে পরিচিতি পেয়ে গেছেন। উল্লেখযোগ্য সাহিত্য পত্রিকা কালধ্বনি, অনুষ্টুপ, পরিচয়, এখন সংস্কৃতি, নবান্ন-তে তার গল্প প্রকাশিত হয়েছে।এদিন তার হাতে সুব্রত স্মৃতি সাহিত্য সম্মান তুলে দেন সুব্রত’র সহপাঠী ঘনিষ্ঠ বন্ধু কবি সাংবাদিক তমাল সাহা। তিনি সন্দীপের হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দিয়ে এবং উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেন। পরবর্তীতে তাকে প্রদত্ত মানপত্রটি পাঠ করেন এবং সম্মান স্মারক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানটি একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরিণত হয়। আবৃত্তিকার প্রণব গুহ সুব্রতর লেখা ‘আয় মন বেড়াতে যাবি’ থেকে একটি অংশ পাঠ করেন। সুব্রত নিজে ছিলেন একজন গায়ক। প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায় যে সমস্ত সংগীত পছন্দ করতেন সেগুলিকে প্রাধান্য দিয়ে সংগীত পরিবেশন করেন, দেবারতি মুখোপাধ্যায়, দেবযানী বন্দ্যোপাধ্যায় ও পৌলমী গুহ। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন সব্যসাচী দাস, গোবিন্দ মণ্ডল।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নাট্যকার তীর্থঙ্কর চন্দ এবং সঞ্চালনায় ছিলেন কবি গায়ক অতনু মজুমদার।