অবতক খবর ,১২ নভেম্বরঃ লিচু বাগানে আয়োজিত এক জনসভায় মঞ্চে উঠে রাজনৈতিক বক্তৃতা দিতে দেখা গেল প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়কে দীর্ঘদিন পর। তিনি এদিন অঞ্চলের নেতা হিসেবে মুখ্য বক্তা ছিলেন।
এর আগে বিজেপি এবং বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী বিস্ফোরক বক্তৃতা দিয়ে গিয়েছিলেন। টেটের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছেন কোন নেতা আরো ২ এম এল এ এবং এক মন্ত্রী এসব জোরালো ভাষায় বলে কাঁচরাপাড়া অঞ্চলে বিজেপি কর্মীদের তাতিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন। এর পাল্টা দিতে আজকে হাজির ছিলেন তৃণমূলের তাবড় নেতারা পার্থ ভৌমিক, তাপস রায়, বর্তমান বিধায়ক সুবোধ অধিকারী।
শুভ্রাংশু রায় এদিন অনেক মনোগ্রাহী কথা বলেন। তিনি বলেন, সুযোগ পেলে আরও চাকরি দেব, মানুষের জন্য তো কাজ করবোই। তৃণমূল দলে স্থানীয়ভাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকলেও আজকের সভায় সব ধরনের নেতাদেরই উপস্থিতি ছিল। অনেকে মনে করেন শুভ্রাংশু রায় ও সুবোধ অধিকারীর মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে। দ্বন্দ্ব যে নেই তা বক্তৃতার মধ্য দিয়ে শুভ্রাংশু রায় বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন। তিনি বলেন বর্তমান বিধায়ক সুবোধ দা-রা চার ভাই। সুবোধ দা যেন তাকে আরেক ভাই হিসাবে মনে করে পঞ্চম ভ্রাতা হিসেবে কাছের করে নেন। বর্ষীয়ান নেতা তাপস রায় বলেন, শুভেন্দু অধিকারী, যে অপরাধে যুক্ত সেসব অপরাধগুলি স্মৃতিতে আনার জন্য যেন নিজের মুখটি আয়নায় দেখেন।
পার্থভৌমিক বলেন তাদের ২১৩ জন বিধায়ককে শুভেন্দু অধিকারী জেলে পুরে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেও মমতা ব্যানার্জি জেলের বাইরে থাকলে তিনি একা ষই ২১৩ কে ২৫০ বানিয়ে দেবেন। সুবোধ অধিকারী বলেন, বিজেপি এখানে এম এল এ কেনাবেচার সুযোগ পাচ্ছে না। তাই শুভেন্দু অধিকারী এসব কথা বলছেন।
এই সভার বিষয়ে সিপিএমের এক নেতা বলেন এটা তৃণমূল দলের মিটিং সেটা ওদের ব্যাপার। তবে শুভ্রাংশু রায় এবং সুবোধ অধিকারীর রাজনৈতিক আদর্শ এবং তারা কি ধরনের নেতা আমি জানিনা। মনে রাখবেন, এরা দুজনই দলবদলু নেতা। তিনি আরো বলেন, বোধ করি শুভ্রাংশু মানে সূর্য, শুভেন্দু মানে চন্দ্র। কে কতটা বড় নেতা এটা প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। তবে এই দুই চন্দ্র ও সূর্যতে কলঙ্ক লেগে আছে, তা সকলেরই জানা।