বিনয় ভরদ্বাজ,অবতক খবর :: নাগরিক সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে শাহিনবাগে গত ডিসেম্বর মাস থেকে প্রায় ৫০ দিন ধরে
যে লাগাতার আন্দোলন বিক্ষোভ চলছে তার প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে ।এই আবেদনের শুনানির করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে মানুষের প্রতিবাদ করার আন্দোলন করা নাগরিকদের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার আছে কিন্তু অন্যের রাস্তা আটকে দেওয়ার অধিকার নেই।
সুপ্রিম কোর্ট আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথাবার্তা চালানোর জন্য দু’জন সিনিয়র অ্যাডভোকেটকে নিযুক্ত করেছেন, তাতে রয়েছেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট সঞ্জয় হেগড়ে ও আইনজীবী সাধনা রামচন্দ্রন।
এই দুই সিনিয়র এডভোকেট আদালতের বিচারকদের জানান যে যেহেতু মানুষের প্রতিবাদ করার অধিকার আছে তাই এদের কোন জায়গা দেওয়া হোক বা সেই জায়গার জন্য রাজি করানো হোক যাতে তারা অন্য জায়গায় গিয়ে তাদের প্রতিবাদ জানাতে পারেন।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এস কে কল এবং বিচারপতি কে এম জোসেফের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে যে দেশে একটি আইন তৈরি হয়েছে এই আইনের বিরুদ্ধে মানুষের অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা পেন্ডিং রয়েছে এমন অবস্থায় কিছু মানুষ তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন, প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তাদের প্রতিবাদের অবশ্যই অধিকার আছে কিন্তু আপনি কোন রাস্তা অবরুদ্ধ করে এই প্রতিবাদ জানাতে পারেন না আর এই প্রতিবাদ অনির্দিষ্টকালের জন্য হতে পারেনা। প্রতিবাদ যদি করতেই হয় তাহলে প্রতিবাদ করার জন্য নিশ্চিত করা জায়গাতে গিয়ে প্রতিবাদ করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কথাবার্তা বলার জন্য যে দুজনকে নিযুক্ত করা হয়েছে তারা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলবেন ও অন্যান্য জায়গা নিশ্চিত করবেন। সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল জানান সুপ্রিম কোর্ট এমন কোনো নির্দেশ যেন না দেয় যাতে এটা নিশ্চিত হয় যে সরকারের সমস্ত এজেন্সি পঙ্গু হয়ে গেছে। সলিসিটর জেনারেলের এই প্রস্তাবের পর সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা জানান,বিক্ষোভকারীরা কথাবার্তাতে যদি রাজি না হন আর অবস্থা বেগতিক হয় তখন সরকারি আধিকারিকদের নিজের কাজ করার জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে।
শাহিনবাগ আন্দোলন নিয়ে পরবর্তী শুনানি 24 ফেব্রুয়ারিতে ধার্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তার আগে কথাবার্তা বলে তাদের প্রতিবাদের জায়গা পরিবর্তন করার জন্য কথা বলবেন দুই প্রবীণ আইনজীবী।