অবতক খবর,৭ আগস্টঃ কয়েকদিন আগে এক চায়ের দোকানের কাছে ঝামেলা হয়েছিল। সকালবেলায় অতনুর বন্ধু অতনুকে ফোন করে মনিন্দ্র বিদ্যাপীঠের মাঠের সামনে ডাকে। অতনুর বাবা নির্মল ঘোষ বলেন অতন ু বাড়ি থেকে টিফিন করার টাকা মার কাছ থেকে নিয়ে গিয়ে দুই বন্ধু মিলে টিফিন করে। তারপর ওর বন্ধু খেলার মাঠে প্র্যাকটিস করার ছিল আর ও মাঠের অপরপ্রান্তে মোবাইল নিয়ে দেখছিল সেই সময় সৈয়দাবাদ ফাঁড়ির পুলিশ এসে ওকে ধরে ওকে ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় ও পুলিশের হাত থেকে ছুটে পালিয়ে যায়।
পুলিশ ওকে পিছন পিছন তারা করে ও ছুটে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয় তারপর পুলিশ নদী পর্যন্ত ধাওয়া করে যখন ওকে খুঁজে পাওয়া যায় না তারপর ওরা ফাঁড়িতে ফিরে আসে। অতনু ঘোষের বাবা নির্মল ঘোষ তিনি বলেন আমরা ফাঁড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। পুলিশ বলেছে বড় অফিসার নাই। কিছু বলতে পারব না।
তিনি বলেন আমার ছেলে যদি কোন দোষে দোষী হয়ে থাকে তাহলে বাড়িতে গিয়েই তাকে আটক করতে পারত তা না করে রাস্তায় ওরকম ভাবে তাড়া করে নদীতে ঝাঁপ দিল সে কোথাও বাড়ির লোককে জানালো না বা ছেলের কোনো রকম কি হলো তা দেখল না আমার মনে হয় আমার ছেলেকে ওরাই মেরে ফেলে দিয়েছে আজ তার দেহ রাধার ঘাট ব্রিজের সামনে পাওয়া যায়। নির্মল ঘোষ বলেন আমার ছেলে বহরমপুর কলেজে সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র। তিনি বলেন, আমি চাই ফাঁড়ির পুলিশ ওকে তাড়া করে মেরে ফেলল, তাদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।
কারণ কিছুদিন আগেই এরকম নবগ্রাম থানায় চোরের সঙ্গে এক যুবককে ধরে এনে থানায় পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। তার জেরে দুজন পুলিশ সাসপেন্ড হয়ে যায়। পুলিশের এরকম কর্মকাণ্ডে এলাকার মানুষ যথেষ্ট ক্ষিপ্ত হয়ে আছেন।