অবতক খবর :: ইসলামপুর ::    লোক ডাউন চলাকালীন বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য খোলা হয়েছে লঙ্গরখানা। যেখানে শ্রমিকরা পরিবারের সকল সদস্যদের সঙ্গে খাবার খাচ্ছেন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের একদম জিরো পয়েন্ট এলাকায় গত সতেরো এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এই লঙ্গরখানা। যা কমিউনিটি কিচেন নামেও পরিচিত। চোপড়া ব্লকের ঘিরনিগাও গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের গ্রাম গোয়াল গছ , মিরচা গছ ও লাফা গছ। ওই তিন গ্রামের সকলকেই খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে লঙ্গরখানা থেকে।

উল্লেখ্য, সোমবার ছিল খাওয়া-দাওয়ার বিশেষ ব্যবস্থা। তাই শ্রমিকরাও সামাজিক দূরত্ব মেনেই একত্রিত হয়েছিল সেখানে। দাসপাড়া নবদিশা এডুকেশন এন্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি সংস্থার অন্যতম কর্ণধার আনিসুর রহমান জানান, বিভিন্ন কোম্পানি থেকে ইতিমধ্যেই চা বাগানের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে এবং যেগুলো ছোট ছোট বাগান রয়েছে মালিকপক্ষ তাও বন্ধ করে দিয়েছে। একমাত্র জীবিকা হারিয়ে শ্রমিকরা দিশেহারা। সোসাইটির পক্ষ থেকে এলাকায় পর্যবেক্ষণ করতে গেলে জানা যায় তাদের তীব্র খাদ্য সঙ্কট রয়েছে । তাতে তারা চরম সমস্যার মুখোমুখি। তেমনভাবে সরকারিভাবে কোনো খাদ্যদ্রব্য তারা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ। তাদের সমস্যা শুনে ওই সমাজ কল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে এই লঙ্গরখানা। যতদিন লকডাউন চলবে এই লঙ্গরখানার মাধ্যমেই শ্রমিকদেরকে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে চা-বাগানের শ্রমিক দেবেন সরকার জানান, সোমবার তারা খিচুড়ি খেয়েছেন। এই লঙ্গরখানা খোলার জন্য তারা সত্যিই ভীষণ ভাবে উপকৃত। না হলে তাদের যে কি অবস্থা হতো তা বর্ণনাহিন। একটি সমাজকল্যাণ মূলক সংস্থার এভাবে এতদিন ধরে সহযোগিতা পাব আমরা আশা করিনি। সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির এহেন কর্মসূচিতে খুশি এলাকার বাসিন্দারা। সংকটের মুহূর্তে সমাজকর্মীদের এভাবেই এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেছেন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ।