অবতক খবর,৮ আগস্ট,মলয় দে নদীয়া:-“জল জমতে দেব না ,ডেঙ্গু মশা হবে না” নদীয়ার শান্তিপুর শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক খুদে ছাত্র-ছাত্রী আজ এই শপথই নিলো, সচেতনতা এক মিছিলের মধ্য দিয়ে

শান্তিপুর পৌরসভার আয়োজনে বিদ্যালয়ের সমস্ত খুদে ছাত্রছাত্রী তাদের অভিভাবক অভিভাবিকা ওয়ার্ডের সকল স্বাস্থ্যকর্মী ,ভেক্টর টিমের সাফাই কর্মী দের নিয়ে স্কুলে আয়োজিত হয় এক সচেতনতা সভা যেখানে উপস্থিত ছিলেন শান্তিপুর পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলর শুভজিৎ দে, স্থানীয় এক নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর মহানন্দ বিশ্বাস, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ডাবলু কুমার রায় সহ বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষিকা মিড ডে মিল কর্মী এবং অন্যান্য সহায়িকা শিক্ষা কর্মীরা।

পুরসভার অনুরোধে শান্তিপুরের স্বনামধন্য নাট্য সংস্থা উড়ান তাদের 291 তম ডেঙ্গু কিসসা নামক একটি পথনাটিকা প্রদর্শন করে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে যাতে ছাত্র-ছাত্রী তাদের অভিভাবক অভিভাবিকা এবং এলাকাবাসীরা অত্যন্ত আনন্দ লাভ করে । ২০১৯ সাল থেকে এই সংস্থা পথ নিরাপত্তা কুষ্ঠ বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে প্রায় এক প্রকার বিনা পারিশ্রমিকেই এ ধরনের নাটক প্রদর্শন করে থাকেন।

সংস্থার সদস্য সৌরভ তালুকদার জানান নাট্যনির্দেশক অমরনাথ সাহার রচনায় ২০১৯ সাল থেকে তাদের সাত জনের দল সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন আমন্ত্রণে এ ধরনের প্রদর্শনী করে থাকেন।

বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ডবলু কুমার রায় জানান সম্প্রতি তারা কিছুদিন আগে একবার অভিভাবক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে হেপাটাইটিস এবং ডেঙ্গু সচেতনতা শিবির করেছিলেন তবে এবারে পুরসভার অনুরোধে। তিনি বলেন ছাত্র-ছাত্রীদের

নেচে গেয়ে মজার মধ্যে দিয়ে অনেক কঠিন কথা ও সহজ হয়ে যায় আর সেই কারণেই নাটকের আয়োজন অত্যন্ত ফলপ্রসু হয়েছে।

স্থানীয় কাউন্সিলর মহানন্দ বিশ্বাস বলেন কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার ডেঙ্গু নিধনে নিয়েছে একাধিক ব্যবস্থা। কিন্তু সাধারণ মানুষের ব্যস্ততার কারণে কখনো কখনো অসচেতনতা শুধরে দেয় শিশুরা। তাই তাদের মধ্য দিয়ে সমগ্র এলাকা সহ তাদের পরিবারে সচেতনতা গড়ে তোলা দরকার। যা আজ বেশ খানিকটা সফল। যদিও পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মীরা প্রতি মাসে দুদিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন ভেক্টর টিমের সাফাই কর্মীরা নিয়মিত জঞ্জাল পরিষ্কার করছেন কিন্তু এরপরেও দরকার সাধারণ মানুষের সহযোগিতা।

পুরসভার সিএসসি মেম্বার শুভজিৎ দে জানান, গত বছরে দুর্ভাগ্যক্রমে শান্তিপুর পৌরসভার ২৪টি ওয়ার্ডের মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় দেড়শ যার মধ্যে সর্বাধিক এই এক নম্বর ওয়ার্ড সংখ্যাটা প্রায় ৩০ জন। সেই কারণে এবারের প্রচারের শুরু এই ওয়ার্ড থেকে এবং সচেতনতার অন্যতম প্রধান মাধ্যম শিশুদের মধ্যে দিয়ে।

পৌর উন্নয়ন দপ্তর এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের ধারাবাহিক তৎপরতায় শান্তিপুর পৌরসভাও সদা সচেষ্ট। তাই এবারে সকলে মিলে ডেঙ্গু মুক্ত শহর গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে।