অবতক খবর,২ ফেব্রুয়ারি: হরিণঘাটা পৌরসভায় নির্বাচনের ২৬ দিন আগে প্রার্থী ঘোষণা করল বামেরা। যদিও একটি আসন ছেড়ে বাকি ১৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তারা। ৪ নং ওয়ার্ডটি ফাঁকা রেখেছে তারা। অন্যদিকে একটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে সিপিআই। বাকি ১৫টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম।

সাংগঠনিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেস যখন নিজেদের দলীয় সংগঠনকে আরো মজবুত করার জন্য একাধিক কমিটি ঘোষণা করছে, ব্লগ থেকে টাউন থেকে শুরু করে একাধিক জেলা কমিটি ঘোষণা করছে, শুধু তাই নয় পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বুথে বুথে মিটিং করছে। আর বিজেপি বিধায়ক তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নিয়ে পিকনিকে মজে আছে,তাদের কথায় তারা তাদের নেতাকর্মীদের অ্যাকটিভ করার চেষ্টা করছে।

আর এইসবের মাঝেই হরিণঘাটা পৌরসভায় বামেরা দিল অন্যরকম চমক। হরিণঘাটা পৌরসভা নির্বাচন রয়েছে ২৭শে ফেব্রুয়ারি শুধু তাই নয়,আরো ১০৮টি পৌরসভার নির্বাচন রয়েছে একই দিনে।

এই হরিণঘাটা পৌরসভায় ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে বিজেপি,তৃণমূলকে ছাপিয়ে গেল বামেরা।

সর্বদলীয় বৈঠকের পর এই সিপিএমের তরফ থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়ে গেল হরিণঘাটা পৌরসভায়।

যার মধ্যে একাধিক পুরনো ও নতুন মুখ রয়েছে। যদিও ১ নং ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছে সিপিআই। অন্যদিকে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বামেরা কোন প্রার্থী এখনো দেয়নি।

এদিন সিপিএমের জেলা কমিটি ও রাজ্য কমিটি নেতৃত্বরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান যে,শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল একদম ঘরের মধ্যে ঢুকে গেছে। কারণ সামনে পৌরসভা নির্বাচন রয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে যেমন মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোট লুট করেছে। তারা ভোট নয় সন্ত্রাস চায়। ভোটের নামে তারা মানুষকে লুট করতে চায়। এমতাবস্থায় তৃণমূলের মুখ এখন এক থেকে একশ। তাই পৌরসভা দশটা থাকলেও প্রার্থী তালিকা ১০ হাজারো হতে পারে পৌরসভায়। এমনই বললেন সিপিএমের একাধিক জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্ব।

তারা আরো বলেন, তৃণমূল-বিজেপি ভাই ভাই। সেই কারণেই উভয়ই সামঞ্জস্য রেখে চলছে, ব’ কলমে বিজেপি হচ্ছে তৃণমূলেরই ভাই। তৃণমূল বিজেপিকে সাহায্য করেছে বিধানসভায়,আর পৌরসভায় বিজেপি তৃণমূলকে সাহায্য করবে, এমনটাই বললেন তারা।