অবতক খবর,২০ জুলাইঃ বর্ধমানের পড়ে এবারে হাওড়া। বিষ মদের বিষক্রিয়ার প্রভাবে হাওড়াতে মৃত্যু হল ছয় জনের। চঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার মালি পাঁচ ঘড়া থানার অন্তর্গত ঘুশুড়ি এলাকার গজানন্দ বস্তিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর ওই বস্তি এলাকাতে মদ খেয়ে বেশ কয়েকটি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, বিষাক্ত মদের প্রভাবেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। যদিও অনেক পরিবারে মৃত ব্যক্তিদের শব দাহ করে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে এই বিষয়ে কিছু না জানিয়েই। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন তাঁদের গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থাতে বাড়িতেই রয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও অসুস্থদের মধ্যে কয়েকজনকে স্থানীয় টি এল জয়স্বয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে বলে পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে।
ঘুসুড়ির যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে, সেটি একটি শিল্পাঞ্চল। প্রচুর ছোট ছোট কারখানা রয়েছে সেখানে। বহু শ্রমিক কাজ করেন ওই সমস্ত কারখানায়। দিনভর পরিশ্রমের পর সন্ধেয় তাঁরা ওই ঠেকে গিয়ে নেশাভাঙ করেন বলে স্থানীয়দের। প্রতাপ কর্মকার নামের এক ব্য়বসায়ী ওই চোলাইয়ের ঠেক চালাতেন বলে অভিযোগ। তাঁর উপর রাগ গিয়ে পড়েছে স্থানীয়দের।
বিষ মদ কাণ্ডে চারজনের মৃত্যু হলেও বহু ব্যক্তি অসুস্থ হয়েছেন বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই ওই বস্তিতে আসেন হাওড়া সিটি পুলিশের পুলিশ কমিশনার প্রবীন কুমার ত্রিপাঠী। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গোটা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই পুলিশ সূত্রের খবর। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে রেয়াত করা হবে না বলেই জানা যাচ্ছে হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে। যদিও স্থানীয়দের দাবি, গতকাল রাতে আকণ্ঠ পান করার পর থেকেই একে একে অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করেন সকলে। যত রাত বাড়ে, ততই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়তে থাকেন পর পর লোকজন।
এ দিন এলাকায় গিয়ে দেখা যায় শোকের চায়া নেমে এসেছে। কান্নার রোল উঠেছে ঘরে ঘরে। একই সঙ্গে স্থানীয়দের অভিযোগ, নিয়মিত ওই বেআইনি ঠেকে আসর বসে। দীর্ঘ দিন ধরেই এমন চলছে। অথচ কারও কোনও হেলদোল নেই। দিনের পর দিন বেআইনি ঠেকে আসর বসত বলে অভিযোগ। কেন ওই বেআইনি ঠেক ভেঙে দিল না প্রশাসন, প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
এখনো পর্যন্ত সূত্র অনুযায়ী পাওয়া ঘুসুরি বিষমদ কাণ্ডে মৃতের লিস্ট-
১.অমিত কুমার বর্মা,
২. অনিল চৌরাসিয়া,
৩. রঞ্জিত গুপ্তা,
৪. লক্ষণ শাউ,
৫. ত্রিভুবন পন্ডিত,
৬. সুকুমার চৌধুরী,
৭. প্রকাশ মিত্র,
৮. বিস্কুট রায়,
৯. রাজেশ্বর রায়।