অবতক খবর,৩১ অক্টোবর,ডুয়ার্স: হাতির তাণ্ডবে নষ্ট হচ্ছে বিঘার পর বিঘা ধান ক্ষেত। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার চাষিরা। হাতির তান্ডব নতুন নয় জঙ্গল লাগোয়া এলাকায়। প্রতিদিনই সন্ধে নামতেই কমপক্ষে ১৫-২০ টি হাতির দল খাবারের সন্ধানে জঙ্গল ছেড়ে বেরিয়ে আসছে লোকালয়ে। হাতির অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন ডুয়ার্সের ধূপগুড়ি ব্লকের সোনাখালি বনাঞ্চল সংলগ্ন ঠাকুরপাঠ, নিরঞ্জনপাঠ, খট্টিমারি এলাকার মানুষ। অভিযোগ, হাতি বেরোলে বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ শাখায় ফোন করা হলেও সঠিক সময়ে তাদের দেখা মেলে না। হাতি তাড়াতে ক্ষেতের মাঝেই টং বানিয়ে সারারাত জেগে থাকেন কৃষকরা।
তাঁদের আরো অভিযোগ, সারাবছর বিভিন্ন রকম ফসল ফলান তাঁরা। হাতির দল এসে তা নষ্ট করে দিয়ে যায়। লিখিত ভাবে বহু বার ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়। কিন্তু কোনরকম ক্ষতিপূরণ তাঁরা পান না বলেই জানিয়েছেন। এর ফলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশা একপ্রকার ছেড়েই দিয়েছেন তাঁরা। তবে যেভাবে প্রতিনিয়ত জঙ্গল ছেড়ে বেরিয়ে আসছে হাতির দল। আতঙ্কে দিন গুনছেন জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার মানুষ গতকাল মাঝ রাতে ঠাকুরপাঠ, নিরঞ্জনপাট, কালাখাম্বা এলাকায় হাতির তাণ্ডবে নষ্ট হয়েছে প্রায় ১০ বিঘারও বেশি ধান খেত। ওই এলাকায় কয়েকদিনে তান্ডপে ১৪ বিঘা ধান ক্ষেত নষ্ট হয়েছে বলে দাবি। ২৫-৩০ টি হাতির একটি দল চোষে বেড়াচ্ছে গোটা এলাকা। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ধান ক্ষেতের। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে ধান খেয়ে প্রায় ভোর নাগাদ পুনরায় জঙ্গলে ফিরে যায় দলটি।
এদিকে হাতির তাণ্ডপের ভয়ে ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। সময় অনুযায়ী অগ্রহায়ণ মাসে তাঁরা ধান কাটেন। কিন্তু যেভাবে হাতির অত্যাচার শুরু হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই সমস্ত ক্ষেতের ধান নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যার জেরে তাঁরা কার্তিক মাসেই ধান কাটতে বাধ্য হচ্ছেন।
অবলা বন্যপ্রাণীদের অত্যাচারে জঙ্গল লাগোয়া লোকালয়ের মানুষের জীবন বর্তমানে দুর্বিষহ হয়ে ওঠেছে। খেটে খাওয়া দিনমজুর কৃষক পরিবারের মানুষেরা প্রতিনিয়ত হাতির তাণ্ডবের শিকার হচ্ছেন। মিলছে না সরকারি তরফেও কোন সাহায্য। এই অবস্থায় বর্তমানে অসহায় জঙ্গল লাগোয়া কৃষকরা।