অবতক খবর,২৫ জানুয়ারি: আজ কোনা মোড় সংলগ্ন অঞ্চলে বিজেপি কর্মীরা সিএএ-এর সমর্থনে বাড়ি বাড়ি প্রচার চালাচ্ছিল বলে জানা যায়। সেই প্রচারকার্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে পরিবর্তিত বীজপুর বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়। সূত্রের খবর, তৃণমূল কর্মীরা জানায় ওই অঞ্চলে তারা একটি সভা করছিলেন। সেই সময় বিজেপি কর্মী এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে তুমুল বচসা হয়। যারফলে গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় এক তৃণমূল কর্মীকে চড় মারেন এবং মারধর করেন, ফলে ঐ যুবকটি আহত হয়। অন্যদিকে বিজেপি কর্মীরা পাল্টা অভিযোগ করে যে তাদের প্রচারকার্যে বাধা দেওয়া হয়। বর্তমানে বিজেপি কর্মীরা বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়ের নেতৃত্বে বীজপুর থানায় এসে অবস্থান এবং বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল জেলা সম্পাদক সুবোধ অধিকারী জানান যে, শুভ্রাংশু রায় এখন অর্জুন সিং হতে চাইছেন। কোনরকম বিজেপি হামলা এখানে বরদাস্ত করা হবে না। আমরা এর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব। বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় বলেছেন, ‘সিএএ সমর্থনে আমরা আজ বের হয়েছিলাম। আমার সঙ্গে  হালিশহর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিল। বাইরে থেকে তৃণমূল দুস্কৃতি এনে কর্মসূচিতে বাধা  দেয়।  মহিলাদের হেনস্থা করা হয়। অশ্রাব্য অশ্লীল ভাষায় গালাগালি সঙ্গে  ছেলেদের সাথে ধাক্কাধাক্কি করে। এই ধরণের পদক্ষেপ গণতান্ত্রিক অধিকারে বাধা নদেওয়া হয়েছে। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি এবং আগামী দিনে বীজপুর বিজেপীর হয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে।  অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগণা  জেলা সাধারণ সম্পাদক সুবোধ অধিকারী এই ঘটনা প্রসঙ্গে  বলেছেন,  ‘শুভ্রাংশু রায় গুন্ডা নিয়ে গিয়ে সাধারণ মানুষের ওপরে  আক্রমণ করেছে। সিএএ এর বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষ বিরোধিতা করেছে। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বাধা পেয়ে এখন তৃণমূলের ঘরে দোষ দিচ্ছে। রাজনৈতিকভাবে শুভ্রাংশু রায়ের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। এখন শুভ্রাংশু রায় এবং মুকুল  রায়  গুন্ডা অর্জুন সিং একে তত্ত্বাবধানে রয়েছে। বলছে মেরে দেবে , গুলি করে দেবে। হুমকি দিচ্ছে, এখন গুণ্ডামিতে নেমে এসেছে। মানুষ এর জবাব দেবে। ‘