অবতক খবর,১৭ জুন: গত বুধবার অভিষেক সমাজমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে জানিয়েছিলেন, গত বছর এই সময় ‘নবজোয়ার যাত্রা’ করেছিলেন তিনি। এ বার চিকিৎসার জন্য সংগঠন থেকে ‘ছোট বিরতি’ নিচ্ছেন।প্রসঙ্গত, এর আগে অভিষেকের চোখে কয়েক বার অস্ত্রোপচার হয়েছে।
২০১৬ সালের অক্টোবরে মুর্শিদাবাদে এক দলীয় কর্মিসভা থেকে ফেরার সময় পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন অভিষেক। সিঙ্গুরের কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে পথের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি দুধের গাড়িতে আচমকা ধাক্কা মেরে উল্টে যায় তৃণমূল সাংসদের গাড়ি। দুমড়ে যাওয়া গাড়ি থেকে অভিষেককে উদ্ধার করা হয়েছিল অচৈতন্য অবস্থায়।
সেই দুর্ঘটনাতে সাংসদের বাঁ চোখের নীচে ‘অরবিটাল বোন’ (চোখকে ধরে রাখার হাড়) ভেঙে যায়। এর পর থেকে তিনি দীর্ঘ দিন ওই চোখ নিয়ে সমস্যায় ভুগছিলেন। চিকিৎসার কারণে তাঁকে একাধিক বার দুবাইও যেতে হয়েছিল।
সূত্রের খবর এর আগে বহুবার তার চোখে অস্ত্রোপচার চালানও হয় কিন্তু তাতে কোনও সুরাহা হয়না বলে জানা যায় ২০২০ সালের মার্চে চোখের অস্ত্রোপচারের জন্য অভিষেকের আমেরিকা যাওয়ার কথা থাকলেও কোভিড আবহে তা দু’বছর পিছিয়ে যায়। কিন্তু এই অস্ত্রোপচার আর বেশি দিন ফেলে রাখা সমীচীন হবে না বলেই চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছিলেন অভিষেককে। তাই ২০২২-এর অক্টোবরেই আমেরিকায় যান তিনি। ১২ অক্টোবর পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অভিষেকের বাঁ চোখে অস্ত্রোপচার করেন জন্স হপকিন্স হাসপাতালের দুই অভিজ্ঞ শল্য চিকিৎসক।
ফের আরও একবার রবিবার সকালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল কলকাতার বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে প্লাস্টিক সার্জনের অধীনে ভর্তি ছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, পেটে অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁর।বিবার দুপুরে হাসপাতালের তরফে একটি মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করা হয়। তাতে জানানো হয়ে, ছোট অস্ত্রোপচারের পর সব দিক থেকে শারীরিক ভাবে ‘স্থিতিশীল’ রয়েছেন অভিষেক। কখন তাঁকে ছাড়া হবে, তা যদিও বুলেটিনে জানানো হয়নি। তার ঘণ্টা দুই পরে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় অভিষেককে।