অবতক খবর নিউজ ব্যুরো :: ৩০শে,নভেম্বর :: হায়দরাবাদ :: গত বুধবার এক পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ উঠল একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় সিসিটিভি সূত্র ধরে ইতোমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে এক ট্রাকচালক, দুই খালাসিসহ ৪ অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, গত বুধবার দুপুরে বাড়ি থেকে হায়দরাবাদের কোল্লুরু গ্রামে যান পশু হাসপাতালে ওই তরুণী পশুচিকিৎসক।
এদিন বাড়ি ফেরার সময় রাত ৯টা নাগাদ সামশাবাদের তন্দুপল্লি টোল প্লাজার কাছে তার স্কুটির টায়ার ফেটে যায়। বিষয়টি ফোনে বোনকে জানান ওই তরুণী, এমনটাই জানা গেছে।
বোনকে তিনি ফোনে বলেন, “আমার স্কুটির টায়ার ফেটে গেছে। একটা টায়ার সারানোর দোকানে নিয়ে এসেছি। পাশে দুই ট্রাকচালক ঘুরঘুর করছে। আমার খুব ভয় করছে।” ফোনে তার বোন তাকে স্কুটি ছেড়ে টোল প্লাজার কাছে গিয়ে ক্যাব ধরে বাড়ি চলে আসার পরামর্শ দেয়।
রাত এগারোটা নাগাদ ফের বাড়ি থেকে তাকে ফোন করা হয়। তখন তার ফোন সুইচড অফ। তারপরেই নিখোজ ডায়েরি করে পরিবার। বৃহস্পতিবার ওই টোল প্লাজার প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে শাদনগরে চাতানপল্লি সেতুর কাছে তরুণী চিকিৎসকের পোড়া দেহ উদ্ধার হয়। সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়া স্কার্ফ ও লাশের গলায় লকেট দেখে শনাক্ত করেন আত্মীয়-স্বজনেরা।
তবে, তার পার্স ও মোবাইলের খোঁজ মেলেনি। তদন্তে নেমে ওই টোল প্লাজার কাছ থেকে লাশের জুতা, জামাকাপড় ও একটি মদের বোতল উদ্ধার করে সাইবারাবাদ পুলিশ। পুলিশের অনুমান, গণধর্ষণের পর তাকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এখানেই শেষ নয়, বোনকে ফোন করার আগে কেন একশো নম্বরে ডায়াল করেননি ওই তরুণী ? এই প্রশ্ন তুলে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন তেলেঙ্গানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ মাহমুদ আলি। এই ঘটনায় ফের নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশ।