অবতক খবর: প্রায় তিন মাস ধরে হিংসা-অশান্তির আগুনে জ্বলছে মণিপুর। সম্প্রতি দুই মহিলাকে গণধর্ষন করে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেশজুড়ে নিন্দার ঝর উঠেছে। বিরোধী জোটের সাংসদরা সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতির দাবিতে সুর চড়িয়েছে। আর স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যজ্ঞ ও পুজোয় অংশ নিলেন। যা নিয়ে বিতর্ক দানা পাকিয়েছে।
আগামী সেপ্টেম্বর মাসে জি-২০ বৈঠক হতে চলেছে দিল্লির আইটিপিও কমপ্লেক্সে। তার আগে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে ওই কমপ্লেক্সকে। বুধবার খোলনলচে পাল্টে ফেলা প্রগতি ময়দানের ওই কমপ্লেক্স উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । সেই সূত্রে কমপ্লেক্স চত্বরে যজ্ঞ ও পুজোয় অংশ নিলেন তিনি। এদিন আইটিপিও কমপ্লেক্সের নির্মাণকর্মীদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ আইটিপিও কমপ্লেক্সে যজ্ঞ ও পুজোর আয়োজন হয়। সেখানেই অংশ নেন মোদি। যদিও মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির হাতেই জি-২০ স্ট্যাম্প ও কয়েনের উন্মোচন হবে বলে জানা গিয়েছে। আসন্ন জি-২০-র সভাপতিত্বের দায়িত্ব পেয়েছে ভারত। দেশের একাধিক প্রান্তেই জি-২০ বৈঠক হচ্ছে। তার মধ্যে রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরও। চিন ও পাকিস্তানের আপত্তিতে যা নিয়ে বিতর্ক হয়।
অন্যদিকে, কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নিল বিরোধী শিবির। বুধবার সকালে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ। সাংসদ এই প্রস্তাব এনে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। সকাল ১১টায় সংসদের অধিবেশন শুরু হলে স্পিকার এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। সংসদীয় নিয়ম অনুসারে, অন্তত ৫০ জন সাংসদ প্রস্তাবের পক্ষে থাকলে আগামী ১০ দিনের মধ্যে কোনও একটি দিনকে বেছে নেওয়া হতে পারে আলোচনার জন্য।
PM Shri @narendramodi performs Lokarpan Puja for IECC Complex at Pragati Maidan, Delhi. https://t.co/i7oNuElous
— BJP (@BJP4India) July 26, 2023
নিয়ম বলছে, প্রস্তাবের সঙ্গে সহমত কারা তা জানতে সাংসদদের উঠে দাঁড়াতে বলা হবে। মাথা গোনা হিসেবে যদি দেখা যায়, পঞ্চাশের কম সাংসদ প্রস্তাবের সপক্ষে রয়েছেন, তাহলে তা তখনই বাতিল হয়ে যাবে। যদি সংখ্যাটি পঞ্চাশ বা তার বেশি হয়, তাহলে প্রস্তাবটি গ্রহণ করে আগামী ১০ দিনের মধ্যে একটি দিন স্পিকার বেছে নিতে পারে এই নিয়ে আলোচনার জন্য। ইতিমধ্যেই বিআরএস তথা ভারত রাষ্ট্র সমিতির তরফেও একটি পৃথক অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে।