হে করোনা দেবী! তোমাকে প্রণাম
তমাল সাহা
হে আমার বঙ্গোপসাগরীয় দেশ, তোমাকে প্রণাম।
শুভ ইংরেজি নববর্ষ তোমাকে প্রণাম।
প্রণাম তোমাকে পার্কস্ট্রিট,
প্রণাম তোমাকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল,
প্রণাম তোমাকে হে চিড়িয়াখানা আমার।
অনেক অনেক প্রণাম তোমাকে হে পিতঃ কপিলমুনি!
তোমাকে প্রণাম হে গঙ্গাসাগর মেলা।
তোমাকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম হে ভোট রাজ।
তোমার পদপ্রান্তে প্রণিপাত হে শাসক!
হে তৃতীয় ঢেউ তোমাকে প্রণাম।
যতদিন পারি ততদিন শিখি—
রাত দশটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত করোনার অবস্থান— এটা নিশ্চিত একটি শিক্ষা।
সকাল ছটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত মদ্যপান করোনার প্রতিষেধক,
এটা শিখলাম।
সেলুন,স্পা,জিম করোনার আঁতুড়ঘর সিদ্ধান্তে এলাম।
গঙ্গাসাগর মেলা করোনা ভাইরাসহীন
কারণ সেখানে ধর্মরাজ ঘুরেফিরে বেড়ান।
শাসকও ঘুরে এসেছেন। তার করোনা ধরা পড়েনি।
সুতরাং গঙ্গাসাগর মেলা স্বাস্থ্যপ্রদ স্থান।
সুতরাং তোমাকে আবার সেলাম।
স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় গর্ভবতী করোনা নারী,এটা প্রমাণিত।
ট্রেনে বাসে মেট্রোতে পঞ্চাশ শতাংশ পর্যন্ত করোনা থেকে নিরাপদ।
করোনা শতকরার অঙ্ক বিষয়ে অভিজ্ঞ।
ভোট কিছুতেই বন্ধ করা যাবে না। ভোটের দিনের বাহাত্তর ঘণ্টা আগে করোনার সংক্রমণ নেই। বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে করোনার আক্রমণ প্রবল। অথচ ভোট প্রদান করা যাবে।
জনসভায় পাঁচশ জনের বেশি হলেই সেই জনসভা করোনায় আক্রান্ত হবে।
এমন সুনিশ্চিত নির্দেশ করোনা তোমার কাছ থেকে পেলাম।
করোনা শতকিয়া জানে।সে নিজেই স্বয়ংক্রিয় গণক। ময়দানে কত মানুষ এসেছে সে গুনে নয় নিজের মেশিনে।
রোড শো, সাইকেল রেলিকে করোনা ভয় পায়।
বাড়ি বাড়ি প্রচার পাঁচ জনের অধিক হলেই করোনা এসে ধরবে ঘাড়ে।
প্রেক্ষাগৃহে দুশ নিরাপত্তা জন বা পঞ্চাশ শতাংশ পর্যন্ত নিরাপত্তা বলয়। এর বেশি হলেই করোনা আক্রমণে প্রস্তুত।
রাত আটটা থেকে সকাল নটার মধ্যেই ভোটের প্রচার চালালেই করোনা আক্রমণ সুনিশ্চিত।
হে করোনা দেবী! তোমাকে প্রণাম।