অবতক খবর,সংবাদদাতা,ইসলামপুর,১৭ জুলাই :: ১০০ দিনের প্রকল্পে বড়সড় দূর্নীতির অভিযোগ উঠল উত্তর দিনাজপুর জেলার গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। চোপড়ার তৃনমূল কংগ্রেস বিধায়ক হামিদূল রহমানের অভিযোগের ভিত্তিতে দূর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে ইসলামপুর ব্লক প্রশাসন। বড়সর দূর্নীতির ঘটনা ঘটায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দূর্নীতির অভিযোগ মানতে চান নি। তার অভিযোগ রাজনৈতিক কারনে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ইসলামপুর ব্লকের তৃনমূল কংগ্রেস পরিচালিত গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত একশো দিনের প্রকল্পে মোট ১২৭টি পুকুর কাটার জন্য সরকারিভাবে অনুমোদন পায়। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েত পুকুর না কেটে কোটি কোটি সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছে। চোপড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা জুবের আলম সহ স্থানীয় গ্রামবাসিরা লিখিতভাবে গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। দূর্নীতির তদন্তের জন্য চোপড়ার তৃনমূল কংগ্রেস বিধায়ক হামিদূল রহমান ইসলামপুর বিডিওকে লিখিতভাবে নির্দেশ দেন। এই নির্দেশ পাবার পরই নড়েচড়ে বসে ইসলামপুর ব্লক প্রশাসন।
বিধায়কের নির্দেশ পাবার পরই ঘটনার তদন্ত শুরু করে ইসলামপুর ব্লক প্রশাসন।অভিযোগের একমাস পরেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্লক প্রশাসন কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন অভিযোগকারিরা। তদন্তে ব্লক প্রশাসন ঢিলেঢালা মনোভাবে ক্ষুব্ধ চোপড়ার বিধায়ক। ব্লক প্রশাসনের ঢিলেঢালা মনোভাবে বিধায়ক ক্ষুব্ধ হলেও তদন্তের কাজ চলছে এবিষয়ে ইসলামপুর ব্লক প্রশাসন তরফ থেকে জানানো হয়েছে। ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে দ্রুত তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করে তদন্ত রিপোর্ট জেলা প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি করেছেন অভিযোগ কারিরা। অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি বিগত চার বছর গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সচ্ছতার সঙ্গে পঞ্চায়েত পরিচালনা করছে। বর্তমান বোর্ডকে কালিমালিপ্ত করতে গ্রামের কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
পঞ্চায়েত প্রধান জানান, একশোদিনের প্রকল্পে উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন ১২৭ টি পুকুর কাটার জন্য অনুমোদন করে। অনুমোদিত ১২৭ টির মধ্যে মাত্র ১৬ টির কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ১১১ টি পুকুর কাটার কাজ শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার একশো দিনের প্রকল্পের আর্থিক বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়ায় সমস্ত কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। অর্থ তছরূপের অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন।
তবে বিধায়কের নির্দেশ প্রসঙ্গে প্রধানের দাবি বিধায়কের কাছে গ্রামবাসিরা অভিযোগ করেছেন। তাই তিনি বিডিওকে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা জানতে চেয়েছেন। ইসলামপুর বিডিও রজত দাস ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে না চাইলেও অফ দি রেকর্ডে তিনি জানিয়েছেন, অভিযোগ পাবার পরই জেলা প্রশাসনের নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে তদন্তের রিপোর্ট জেলা প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে।