অবতক খবর , পিন্টু প্যাটেল , বর্ধমান :- ১০১ জোড়া পাত্রপাত্রীর গণবিবাহ অনুষ্ঠিত হল বর্ধমানের কঙ্কালীতলায়।গতকাল রাতে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর ও তৃণমূল নেতা খোকন দাস এই গণবিবাহের আয়োজক।
এই নিয়ে সাতবছর ধরে এই আয়োজন করে আসছেন তিনি। গণবিবাহ মানে যেমন তেমন করে নয় ; একেবারে মেলার মাঠ।রীতিমতো আড়ম্বর আর জাঁকজমকপূর্ণ ছিল এই অনুষ্ঠান। এদিন সকাল থেকেই সাজোসাজো রব। কনেপক্ষ ছিলেন কঙ্কালীতলায়।এই ১০১ জোড়ার মধ্যে ৯ জোড়া আবার মুসলিম পাত্রপাত্রী।বাকি সবাই হিন্দু।
নিজের নিজের ধর্মীয় রীতি মেনেই সব লোকাচারসহ এই বিয়ে হল এদিন।অন্যদিকে বরপক্ষ হাজির ছিল টাউন হলের মাঠে।দু জায়গায় ম্যারাপ বেঁধ এলাহি খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল দু- পক্ষের জন্যই।
সন্ধ্যের আগেই টোটো চেপে সারি দিয়ে ১০১ জন বর হাজির হলেন।কনে সাজানোর পালা শেষ তখন। ছাদনাতলায় তাদের জীবনে জীবন যোগ হল। রাতে বর এবং কনেপক্ষে জন্যও ছিল খাওয়া দাওয়ার বন্দোবস্ত।
এদিন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ; জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা ; সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু ; তিন বিধায়ক নিশীথ মালিক; রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় ; নেপাল ঘড়ুই সহ আরো অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি এই পরম লগ্নের সাক্ষী রইলেন। এছাড়া ছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।
যারা গত কয়েক বছরের মত এদিনও এই বর্ণময় অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন। আয়োজক খোকন দাস জানান; ‘আমরা একটি রাজনৈতিক দল করি। আমাদের নেত্রী মানুষের জন্য কাজ করেন। আমাদেরও তাই করতে বলেন।তাই এই ১০১ জোড়া অসহায় বোনের পাশে দাঁড়ালাম। ‘ কিন্তু কী কী পেল ওরা এই বিয়েতে? তালিকাটা বেশ লম্বা। শুনে নেওয়া যাক।পাত্রীদের প্রত্যেকের নাকের গয়না।
ছেলেদের হাতের আংটি; ঘড়ি।ছেলে মেয়ে দু তরফের সব জামাকাপড় থেকে জুতো বা সাজার জিনিস।এতেই শেষ নয়।খাট; আলমারি ; ড্রেসিং টেবিল; সেলাই মেশিন ও সাইকেল।
একটি ২৪ ইঞ্চি এল. সি. ডি টেলিভিশন সেট। এছাড়া দেড় লক্ষ টাকার এল. আই. সি র পলিসি।আরো ছিল একমাসের জীবনধারণের মত খাবার জিনিসপত্র। কুড়িটা করে বাসনের সেট।যাতে ওদের জীবনের শুরুটা আরো মসৃণ আর মধুময় হয়।
কোভিড সংক্রমণের ছড়িয়ে পড়ার কার্যত এটাই শহরের প্রান্তিক এলাকা কাঞ্চননগরে সবচেয়ে বড় সামাজিক অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তাই একটা আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে সন্নিহিত এলাকায়।