অবতক খবর ,সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় ,পূর্ব মেদিনীপুর :- ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর রক্তস্নাত সূর্যোদয়ের ১৩ তম বর্ষ পূর্তিতে শহীদ স্মরণে নন্দীগ্রাম তেখালি গোকুলনগর স্কুল মাঠে বিশাল সমাবেশ আয়োজন করেন নন্দীগ্রাম ভূমি উচ্ছেদ কমেটি।
আর সেখানে দলীয় পতাকা কিংবা মমতা ব্যানার্জির সিম্বল লোগো ছাড়াই জনসভার আয়োজিত হয়।সেখানেই প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন শ্রী শুভেন্দু অধিকারী। উপস্থিত ছিলেন শহীদ জননী বিধায়িকা ফিরোজা বিবি,তমলুকের সংসদ দিব্যেন্দু অধিকারি, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্ব কিন্তু পুরোটাই দলীয় পতাকা কিংবা মমতা ব্যানার্জির ছবি কোথাও দেখা গেলো না।
মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় কর্মী-সমর্থকের উপস্থিতিতে। বলে রাখা ভালো এটা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর প্রেস্টিজ ফাইট।কারণ বিকেল তিনটায় শুভেন্দু অধিকারী জনসভা থেকে ঢিল ছোড়ার দূরত্বে নন্দীগ্রাম হাজরা কাটায় তৃণমূলের দলীয় পতাকায় নন্দীগ্রামের নেতা শেখ সুফিয়ানের নেতৃত্বে জনসভা করবেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম,পূর্ণেন্দু বসু,দোলা সংসদ তথা শুভেন্দুর পিতা শিশির অধিকারীর মতন নেতৃত্বরা। মঞ্চে উঠে শুভেন্দু অধিকারী বলেন যে –
১)আমি যখন নন্দীগ্রামে আছি আগাম বলে যাই পরবর্তী কর্মসূচির কথা
২)2003 সালের গল্প নতুন গল্প নয় , চেনা বামুনের পৈতা লাগে না।
৩)এই আন্দোলন কোন ব্যক্তির নয়।
৪)যারা সংবাদ-মাধ্যমে লোকেরা রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ভাবছেন শুভেন্দু কোন দিকে যাবেন তাদের বলি একটি পবিত্র প্ল্যাটফর্ম এখানে রাজনীতি করবো না।
৫) ১৩ বছর পরে নন্দীগ্রামের কথা এবার মনে পড়েছে, ভোটের আগে আসছেন ভোটের পরে আসবেন তো ?
৬) লড়াইয়ের মাঠে দেখা হবে।
৭) রাজনীতির মঞ্চে দেখা হবে।
৮) শুভেন্দু অধিকারী কাউকে আঘাত করে না , রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ভাবছে শুভেন্দু অধিকারী কি বলবে, যে রাস্তা দিয়ে আমি হারলে হুচট খাবো , হ্যাঁ সেই রাস্তায় আমি যাব না, আমি যে রাস্তায় হুচট খাব না সেই রাস্তা দিয়ে যাব। জয় নন্দীগ্রাম, জয় ভারত মাতা কি জয়। ভয় পাইনা চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য উচ্চ যেথা শির। শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিটা কথায় জয় নন্দীগ্রাম ধ্বনি উঠে আসে।
মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন যে আগামী ৭ই জানুয়ারি রক্তাক্ত সূর্য উদয় নন্দীগ্রামে আসবেন তো। তাৎপর্য কর মন্তব্য করে। এবং বিকেল চারটায় আবার একটি শহীদ স্মরণ সভায় শুভেন্দু অধিকারী যোগ দেবেন বলে জানা যায়।