অবতক খবর , নদীয়া :      নদীয়া জেলার-ফুলিয়া পাড়া সহ পাশাপাশি এলাকার দুই শতাধিক গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস এটিএম কার্ড এবং পাসওয়ার্ড নিয়ে লোন করে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠলো, ওই এলাকারই পাঁচু গোপাল দাসের পুত্র শম্ভু চরণ দাসের ওরফে শুভ দাসের বিরুদ্ধে।

কিন্তু প্রত্যেকের একাউন্টে অদ্ভুত ভাবে ভুতুড়ে ট্রানজাকশন হতে দেখা যায় লকডাউনের মধ্যে! যে একাউন্টে বাৎসরিক ১৫০০০ টাকার লেনদেন হয় না সেই একাউন্টেও একদিনে লক্ষাধিক টাকার ট্রানজাকশন হতে দেখা গেছে বেশকিছু একাউন্টে। এমনকি এই ধরনের একাউন্টে টাকা ঢোকার পাঁচ দশ মিনিটের মধ্যেই অন্য একাউন্টে স্থানান্তঃকরণ হয়েছে সবটাই গ্রাহকের অজান্তে। স্বভাবতই শ্রমজীবী তাঁতিদের একাউন্টে এত বড় বড় লেনদেনে তারা বিচলিত হয়ে ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে জানাতে যায়, তার পরামর্শ অনুযায়ী থানায় গিয়ে প্রতারকের নামে অভিযোগ দায়ের করার কথা বলাহলেও থানা থেকে এটি ব্যাংকের বিষয় বলা হয়।

শুধু স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া ফুলিয়া শাখার গ্রাহকবৃন্দ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাই নয় বিশেষ সূত্রের খবর জানা যায় আশেপাশের বেশকিছু অন্যান্য ব্যাঙ্কেও একাউন্টে টাকা এমনকি ঠিকানাও ট্রান্সফার হয়েছে গ্রাহকের আবেদন ছাড়াই। এই মুহূর্তে লোন নেওয়ার সিদ্ধান্ত বদল করে প্রত্যেকে আসল বই এবং এটিএম কার্ড ফেরত পেতে শুভ দাশের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায় না। তার বাবা পাঁচু গোপাল দাস জানান “অনেকেই আমাকে চেনে! ব্যাংকের এটিএম নাম্বার পাসওয়ার্ড সহ দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কোনোদিন এ বিষয়ে কিছু জানায় নি।”

বিষয়টি নিয়ে গত ২১. ০৭. ২০২০ তারিখে যাবতীয় প্রমাণ তথ্যের ভিত্তিতে এসডিও ,এসপি ডিএম, ডিআইজি এবং নবান্নে জানানো হয়েছে। যদিও এখনও বিষয়টি নিয়ে কোন অনুসন্ধান চালু হয়নি বলেই দাবি করেছেন গ্রাহকবৃন্দ। অন্যদিকে ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা যায় বিষয়টি তাঁদের নজরে আসার সাথে সাথেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে তদন্তের জন্য। ক্ষণিকের জন্য পশ্চিমবঙ্গের বাইরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েকশো কোটি টাকার লেনদেন কি কারনে?

এ বিষয়ে গ্রাহকদের আবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শুভ দাস জানান ” ফুলিয়ার গৌরাঙ্গ বসাক,সন্টু চক্রবর্তী,কানাই দাস,রানা কর্মকার আমারই মতো লকডাউনে তাঁতিদের উপকার করতে গিয়ে ফেঁসে গিয়েছে বড় জাগুলিয়ার সন্তোষপুরের বাসিন্দা মোক্তার মন্ডলের কাছে। তবে লোনের বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। নিজের পরিবার সহ পাঁচজন আত্মিয়র একাউন্ট ভাড়া বাবদ মুক্তার মন্ডল প্রথম দিনই অগ্রিম ২০০০ টাকা দিয়েছিলেন। তাই বিশ্বাস জন্মেছিলো! পরবর্তীতে ৮০ টি অ্যাকাউন্ট বাবদ ৬৭ হাজার টাকা প্রাপ্ত টাকা সকলকে লিখিত করে ভাগ করে দিই। গ্রাহকদের মধ্যে কয়েকজন একদিনের সর্বাধিক ২৫০০০ টাকা তুলে ফেলে! মুক্তারের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে ক্রমশ!

এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে সবটাই জানিয়েছি, আগামীতে তদন্তের ভিত্তিতে মূল দোষীর শাস্তির বিষয়ে প্রশাসনের সাথে সবরকম সহযোগিতা করবো। তবে বর্তমানে প্রাণ সংশয়ে আছি, সেই কারণেই কিছুদিন বাড়ির বাইরে ছিলাম।”