অবতক খবর,২২ জুলাই: আজ কাঁচরাপাড়া এবং হালিশহর পৌরসভার দুই প্রশাসক,বীজপুর থানা প্রশাসন, নৈহাটি বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের উপস্থিতিতে হালিশহর লোকসংস্কৃতি ভবনে এক আলোচনা সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, আগামী ২৭ জুলাই থেকে ১লা আগস্ট পর্যন্ত সমগ্র বীজপুরে ২৪ ঘন্টাব্যাপী লকডাউন থাকবে।

এই লকডাউনে ওষুধপত্রের দোকান,ব্যাঙ্ক, সরকারি অফিস ছাড়া সমস্ত কিছু পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। এই কড়াকড়ি লকডাউনের ব্যাপারে মিটারিং করা অর্থাৎ দেখভাল করার পুরো দায়িত্ব বীজপুর থানা প্রশাসনের উপর। এটি জানিয়ে দিয়েছেন নৈহাটি বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। তিনি বলেন,বীজপুর অঞ্চলে যেভাবে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাকে ব্রেক দেওয়ার জন্য এই এক সপ্তাহব্যাপী করাকরি লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমস্ত দোকান বন্ধ থাকবে কিন্তু মদের দোকান বন্ধ থাকবে কিনা এই প্রসঙ্গে বীজপুর আইসি কৃষ্ণেন্দু ঘোষ জানিয়েছেন যে,এটি তাদের এক্তিয়ার ভুক্ত নয়। এ ব্যাপারে তিনি সোজাসুজি দুই পৌর প্রশাসককে জিএম-এর সঙ্গে কথাবার্তা বলে মদের দোকান গুলি বন্ধ রাখা যায় কিনা সেইমত আলোচনা করার জন্য আবেদন করেন। তিনি আরো বলেন,মদ এমন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নয় যে সেই দোকান বন্ধ রাখা যাবে না। কিন্তু এ ব্যাপারে তার কিছু করণীয় নেই। এ ব্যাপারে দুই প্রশাসককে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন কাঁচরাপাড়ার পৌর প্রশাসক সুদামা রায়, হালিশহর পৌরসভার পৌর প্রশাসক রাজু সাহানী, এদিকে কাঁচরাপাড়া থেকে উপস্থিত থাকেন মাখন সিনহা, সুভাষ চক্রবর্তী, হালিশহর থেকে কানুলাল সরকার প্রমুখ। এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা নিয়েছেন কাঁচরাপাড়া ব্যবসায়ী সমিতি এবং হালিশহর ব্যবসায়ী সমিতি।

এই লকডাউন যথাযথভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কিনা তা দেখভালের সম্পূর্ণ দায়িত্ব বীজপুর থানা প্রশাসনের উপর এবং এই বিষয়ে বীজপুর থানা প্রশাসন তিনদিনব্যাপী লাগাতার প্রচার চালিয়ে জনগণকে সতর্ক করবেন, এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিধায়ক পার্থ ভৌমিক পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে এই লকডাউন সার্থক করার সমস্ত দায়িত্ব দেওয়া হল বীজপুর থানা প্রশাসনের উপর।অন্যদিকে বিধায়ক পার্থ ভৌমিক জানিয়েছেন, এই লকডাউন চলাকালীন তৃণমূলের সমস্ত পার্টি অফিস বন্ধ থাকবে। কিন্তু তিনি বীজপুর আইসি-র কাছে আবেদন করেছেন যাতে বীজপুরের অন্যান্য পার্টি অফিসগুলিও বন্ধ রাখা যায়।
এর পাশাপাশি এই লকডাউন চলাকালীন কাঁচরাপাড়া এবং হালিশহর এই দুই পৌরসভা দমকলের মাধ্যমে নিজেদের শহর স্যানিটাইজেশনের কাজ করবেন।