উৎপল রায় :: অবতক খবর :: জলপাইগুড়ি :: করোনা মহামারির সংক্রমণ রুখতে একমাসেরও বেশি সময় ধরে লকডাউন চলছে সারাদেশে। আমরা জানি সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউনের কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু লকডাউনের কারণে আজ লক্ষ লক্ষ মানুষের রুটিরুজি বিপন্ন। অনেকের কাছে দুবেলা দুমুঠো অন্নের সংস্থান করাই অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার যেমন ফ্রি রেশন দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। তেমনি অসংখ্য পরার্থপর মানুষ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও দুঃস্থদের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছে।
হোয়াইট ঈগলস একটি চ্যারিটিবল অর্গানাইজেশন। মানুষের নিঃস্বার্থ সেবাই আমাদের লক্ষ্য। পশ্চিমবঙ্গের আরও কয়েকটি জেলার মতো জলপাইগুড়ি জেলাতেও তারা তাদের সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২৬ এপ্রিল রবিবার হোয়াইট ঈগলস জলপাইগুড়ির স্বেচ্ছাসেবীরা জেলার মাল ব্লকের ক্রান্তির রাজাডাঙ্গার ধলাবাড়ি চা বাগান এলাকায় ৬৫টি দরিদ্র পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিলেন।
এই সেবা কার্যক্রম পরিচালনায় তাদের সহযোগিতা করেন উত্তরবঙ্গের বিশিষ্ট সমাজসেবক পদ্মশ্রী করিমুল হক, যিনি বাইক অ্যাম্বুলেন্স দাদা নামেই সকলের কাছে পরিচিত। করিমুল হকের গৃহ পরিসরেই ৬৫ জন দুঃস্থের হাতে ৪ কেজি করে চাল। ২ কেজি করে আলু। ৫০০ গ্রাম করে মুসুর ডাল। ৫০০ এম এল সর্ষের তেল। ৩০০ গ্রাম সোয়াবিন। এবং একটি করে সাবান তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং করিমুল হক মহাশয়। দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর হোয়াইট ঈগলসের এই প্রয়াস দেখে খুশি সমাজসেবী করিমুল হক। এবং আমাদের সংস্থার সেবাকার্যক্রমে সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
হোয়াইট ঈগলসের তরফ থেকে সুইটি ঘোষ সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে গ্রামবাসীদের লকডাউন মেনে চলার অনুরোধ জানান। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেও মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এই কর্মসূচিতে হোয়াইট ঈগলসের অন্যতম সদস্য সন্দীপ জোয়ার্দার এবং প্রীতম বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। লকডাউন পিরিয়ডে দুঃস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণের আরও কর্মসূচি সংস্থার তরফে গ্রহণ করা হবে। সেবা কার্যক্রম পরিচালনায় সহৃদয় জনগণের সহযোগিতা কামনা করছি আমরা ।