অবতক খবর,২ জুলাই: অবতক খবর এই শীর্ষকে সংবাদ প্রকাশ করেছিল যে ৮৫ নং রুটে সরকারি বাস চলাচলের কৃতিত্ব কার? সেই কৃতিত্ব পৌর প্রশাসক সুদামা রায়ের না বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়ের? এই সংবাদটি প্রকাশের পরই আলোড়ন সৃষ্টি হয় এবং এই সংবাদকে কেন্দ্র করেই বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় এক সাংবাদিক বৈঠক করেন।

এটি যে প্রেস মিট তার অবতক- কে সরাসরি জানানো হয়নি। শুধু মোবাইলে অবতক সংবাদকর্মীকে জানানো হয় সকাল এগারোটায় তিনিযেন উপস্থিত থাকেন। অবতক- কর্মী রঞ্জন ভরদ্বাজ গিয়ে তো হতবাক! সব মিডিয়ার কর্মীরা হাজির। মানে এটি যে প্রেসমিট তার অবতক-কে জানানো হলো না।

বৈঠকে শুভ্রাংশু রায় জানিয়ে দেন যে,তাঁর কিছু সমর্থকরা সরকারি বাস পরিষেবা চালু হয়েছে–এই মর্মে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার দিয়েছে। এটা তাদের ব্যাপার। তাতে তাঁর কোন হাত নেই। তবে এই যে সরকারি বাস চালু হয়েছে তা যে কারণেই হোক বা যার কৃতিত্বেই হোক না কেন এটা জনগণের জয়। এই মর্মে তিনি মন্তব্য করেছেন,পৌর প্রশাসকের নাম না উল্লেখ করে একটু ব্যঙ্গ করে করেছেন। তিনি তাঁর স্মৃতি শক্তি প্রসঙ্গে বলেছেন,তাঁর চিকিৎসার কথা বলেছেন।

 

এই স্মৃতিশক্তি প্রসঙ্গে পৌর প্রশাসক সুদামা রায় বলেন, বিধায়ক আমার পুত্রসম, আমি এ ব্যাপারে কিছু উত্তর দেবো না। ২০১৭ সালের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এটি চালু হয়েছে এবং সমর্থকরা তাঁর প্রচার দিয়েছেন এটা মেনে নেওয়া গেলেও আমাকে বলতে হচ্ছে যে ,প্রকাশ পাওয়া সেই চিঠিটি সমর্থকদের হাতে তুলে দিয়েছেন কে? বিধায়ক নাগরিক প্রতিনিধি, তাঁর পদমর্যাদা রয়েছে। তবে তিনি কি লাইমলাইটে আসার জন্য এটি নিজেই তুলে দিয়েছেন? এখন ঘুরিয়ে কথা বলতে চাইছেন কেন? কার চিকিৎসা করাতে হবে? কার স্মৃতি বিভ্রম হচ্ছে? আমি তো বারবার বলছি ২০১৭ সালের চিঠি তৃণমূলের আমলের সময় তিনি আবেদন করেছিলেন। তখন তিনি পারলেন না,আর বিরোধী দলে তিনি যখন ঢুকে গিয়েছেন তখন তাঁর এত বড় দীর্ঘ হাত যে তাঁর দৌলতে বাস পরিষেবা চালু হয়ে গেল? একথা শুনলে কে না হাসবে? তিনি বলেন, এর বেশি আমি আর কিছু বলতে চাই না। এ বিষয়ে জেলা সাধারণ সম্পাদক সুবোধ অধিকারীর প্রচেষ্টা এবং পৌর প্রশাসনের একটা তদারকি রয়েছে, সেই দৌলতেই এটি হয়েছে। আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর প্রচারের জন্যই এই প্রশ্নটি তুলেছি। নচেৎ এই প্রশ্ন তোলার কোনো প্রয়োজনই নেই। কারণ এটা নাগরিক পরিষেবার প্রশ্ন, যাত্রী পরিষেবার প্রশ্ন। তাদের সুবিধার জন্য প্রশাসনিকভাবে কাজ করতেই হবে। সেই দায়িত্ব নিয়েই তো প্রশাসন চলে। সুতরাং কার ক্রেডিট এসব তুচ্ছ নগণ্য। এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে চাই না।

এদিকে পৌর প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেসরকারি বাস সিন্ডিকেট অর্থাৎ মালিকপক্ষ এবং শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। যাতে দ্রুত বাস চালু করা যায়।যাতে নাগরিক পরিষেবা আরো ভালো দেওয়া যায়। এটুকুই বলতে পারি। এই নিয়ে কোন বিতর্কে আমি জড়াতে চাই না। ‌কারণ প্রশাসক হিসেবে নাগরিক পরিষেবা দেওয়া আমার কর্তব্য এবং তাতে আমি দায়বদ্ধ। এতে ক্রেডিট নেবার কিছুই নেই।

আর কেউ যদি অমর্যাদাকর কিছু আমাকে বলে থাকে সেটাও আমি গ্ৰাহ্য করছি না। তিনি বলেন,মনে করুন আপনি আমাকে ৫ হাজার টাকা দিতে চাইলেন, কিন্তু আমি নিলাম না। সেই টাকাটি কার হল? যিনি দিতে চাইলেন আমি যেহেতু গ্রহণ করলাম না, সেহেতু সেই টাকাটি তারই রইল। যিনি আমার বিরুদ্ধে অসম্মানজনক কথা বলেছেন, মনে করুন আমি সেটি গ্রহণ করলাম না। তাহলে সেই অসম্মানজনক বাক্যটি কার হাতে রইল? স্বাভাবিকভাবেই তার হাতেই রইল। এর বেশি কিছু আমি আর বলতে চাই না।